বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের আলোচনা বেশি জরুরি- ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি বাংলাদেশের চিন্তক, গবেষক ও লেখকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশে আরও বেশি চিন্তা ও গবেষণা করতে আহ্বান জানান। আলোচনা সভাটি রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট ও অ্যার্ডন পাবলিকেশনের যৌথ উদ্যোগে গত ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ মঙ্গলবার আর সি মজুমদার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের সভাপতি আরিফ খান বলেন, সংবিধানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বণ্টনের নীতিমালা রয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সংস্কৃতির হাত ধরে ফ্যাসিবাদের উত্থান হচ্ছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার সমুন্নত রাখতে এবং বিপ্লবের চেতনা ধরে রাখতে এ ধরনের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হুসাইন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে ফ্যাসিবাদের নানাবিধ রূপ তুলে ধরেন।
সাংবাদিক ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিয়েছে বলেই তারা গণঅভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দিতে পেরেছে। তিনি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্থানের ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেন বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ ব্রিটিশদের তৈরি করা জাতীয়তাবাদ থেকে উদ্ভূত, যার মূল ভিত্তি মুসলিম বিদ্বেষ।
লেখক সিরাজ উদ্দিন সাথী বলেন, মুক্তির লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এ লড়াই সহজে শেষ হওয়ার নয়, কেননা ফ্যাসিস্টদের সৃষ্টি করা মনস্তত্ত্ব রয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার তার বক্তৃতায় বলেন, আমরা শাসনতন্ত্রের ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক ফ্যাসিবাদ থেকে কতটা মুক্ত হতে পেরেছি জানিনা। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নাম হলো বিপ্লব। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।