‘সিরিয়াস’ ধারার বইপত্র নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চা করা এবং তরুণদের সাহিত্য সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করাই রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের কাজ। এ সংগঠনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা সবাই তরুণ—অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া, কেউ লেখাপড়া শেষ করে সবে ঢুকেছেন কর্মজীবনে। বিস্তারিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে
ব্যাপারখানা আজবই বটে। প্রযুক্তিনির্ভর এই সময়ে যখন পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য কিছু পড়তে চান না অনেকে, সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া একদল তরুণ গোগ্রাসে গিলছেন সাহিত্য আলোচনা। কেবল তা-ই নয়, বক্তাদের একের পর এক প্রশ্নে রীতিমতো জর্জরিত করে তুলছেন তাঁরা। প্রশ্নকর্তাদের কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কেউবা ঢাকার কোনো কলেজের। সবার প্রশ্নের মধ্যেই আছে অনুসন্ধিৎসার ছাপ। পাক্কা ঘণ্টা দেড়েকের ভাবগম্ভীর প্রশ্নোত্তরের পর আবার শুরু হলো গুরুগম্ভীর আলোচনা। শ্রোতারা তবুও নট-নড়নচড়ন। এটি ছিল রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মাসিক বক্তৃতার চিত্র। চর্মচক্ষুতে দেখেছিলাম বটে সেই মনোহর দৃশ্য।
ধীরে ধীরে এমন মনোহর ব্যাপার-স্যাপারই ঘটিয়ে চলেছে রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট। এটি তরুণদের পড়াশোনাভিত্তিক একটি সংগঠন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আশ্রয় করে যার বেড়ে ওঠা। ‘সিরিয়াস’ ধারার বইপত্র নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চা করা এবং তরুণদের সাহিত্য সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করাই এর অন্যতম কায়কারবার। আর এ সংগঠনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের দর্শনও আলাদা। তাঁরা বলেন, ‘পড়ারও সুসংবদ্ধ একটি নিয়ম আছে। আমাদের মুখ্য বিষয় পড়ুয়া নয়, চাই পড়া।’