২৯০ তম সাপ্তাহিক পাবলিক লেকচার
বিষয়: আলোকচিত্রে কিউরেটিং চর্চা ও বাহাস
বক্তা: এ. এস. এম. রেজাউর রহমান
তারিখ: ০৫ জানুয়ারি, ২০১৮
কিউরেটরা প্রত্যেকে একজন লেখক কিন্তু তিনি কোন ধরনের লেখা দেখাতে চাচ্ছেন তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে অধুনা কিউরেটিং চর্চা বাড়ছে , যা ইতিবাচক। কিউরেটিং এর কোনো বাংলা শব্দ নেই। এটি আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ।
কিউরেটরদের দায়িত্ব হল সৃষ্টিশীল কাজকে আরেক ধরনের সৃষ্টিশীল কাজে রূপ দেওয়া। শিল্পীদের নেওয়ার ভেতরে কাজ করা প্রদশর্নীর জন্য পরিকল্পনা করা, বাজেট করা, আলোকচিত্রশিল্পীদের সাথে যোগাযোগ করা, জনগণের কাছে আরো বেশি প্রচারের জন্য গণমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করা। বাংলাদেশে পেশাজীবী হিসেবে আলোকচিত্রের কিউরেটর খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আলোকচিত্র পড়ানো হয় না । কিন্তু চারুকলা অনুষদে সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ানো হয়।
কিউরেটিং হল কতগুলো স্বাধীন শিল্পের কাজ । যে ব্যক্তি জ্ঞানকে বাড়তি বা ভিন্ন ধরনের চিত্র দিতে পারে তাকে কিউরেটর বলে। কিউরেটরদের আলোকচিত্র প্রদশর্নী করা , প্রদশর্নী সম্পর্কে চিন্তা করা ও প্রদশর্নী সম্পর্কে লিখতে হয়। কিউরেটরদের মূল কাজ মাথার মধ্যে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণার সৃষ্টি করা। বর্তমানে প্রদর্শনীতে মানুষের সাথে যোগাযোগ মুখ্য, প্রদর্শনী গৌণ। কিউরেটিং বর্তমানে প্রদশর্নীর জন্য দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বর্তমানে এটি একটি আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তবে এখনও লেখা বা চিন্তার ক্ষেত্রে কিউরেটররা পিছিয়ে আছে , কারণ কোন একটি বিষয়কে বাস্তবে রুপ দিতে অনেক সময় লাগে। সেই সময়টা হয়তো বাংলাদেশ এখনও অতিক্রম করেনি। যাইহোক বাংলাদেশে কিউরেটিং চর্চা অনেক বাড়ছে। কিন্তু কিউরেটরদের সমালোচনা করা হয় না।