সাপ্তাহিক কার্যক্রম

সাপ্তাহিক পাবলিক লেকচার

রিডিং ক্লাব আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সাপ্তাহিক সভার আয়োজন করে। রিডিং ক্লাবের সবচেয়ে জমজমাট সেশন হলো এটি। প্রতি শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের নিচতলার সিনেপ্লেক্স হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। ইতোমধ্যে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিডিং ক্লাব তার ৪৪৪তম সাপ্তাহিক লেকচার সফলভাবে আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটি সেশনের মোট সময় ১১৯ মিনিট। প্রতিটি সেশনে একটি টপিক আগে থেকে নির্ধারিত থাকে এবং একজন বক্তা নির্ধারিত ওই বিষয়ে ৪০ মিনিটব্যাপী তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ৪০ মিনিট পর আলোচনা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। উপস্থিত শ্রোতাদের যে-কেউ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারেন। সেশনে উপস্থিত শ্রোতাদের প্রত্যেককেরই কথা বলা বাধ্যতামূলক। এই সেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে রিডিং ক্লাবের নিজস্ব কিছু স্টাইল রয়েছে। যেমন কাউকে পূর্ববর্তী বক্তা বা শ্রোতার কোনো বিষয়ে সরাসরি বিরোধিতা করতে দেয়া হয় না। বরং নিজের মতামত আকারে নিজের প্রশ্নগুলো উত্থাপন করা এবং অন্যের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়াকে উৎসাহিত করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো বক্তা যা বলতে চাচ্ছেন তা তিনি গুছিয়ে, বোধগম্যভাবে শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করতে পারছেন কিনা। এই স্টাইল অনুসরণের অর্থ এই নয় যে, রিডিং ক্লাব ভুলতথ্য পরিবেশনকে প্রশ্রয় দেয়। বরং উদ্দেশ্য হলো ঠিক-বেঠিক নির্ণয়ের ভারটি অবশিষ্ট শ্রোতার কাঁধে ছেড়ে দেয়া যাতে করে তারা উৎকর্ণ হয়ে বক্তার বক্তব্য শুনেন এবং সামগ্রিক ভাবে একটি সংলাপের সংস্কৃতি গড়ে তোলেন। এই সেশনগুলোতে সাধারণত ভবিষ্যতের ক্রিটিক্যাল দৃষ্টিসম্পন্ন বক্তা তৈরির উদ্দেশ্যে সবাইকে দক্ষ করে তোলার জন্য কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়। এরপর পুরো আলোচনাটির সামারি করে সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিক সভাটি। উল্লেখ্য যে, সাপ্তাহিক সেশনগুলোতে বক্তব্য দেয়ার জন্য সাধারণত ত্রিশ বছরের কম বয়সী বক্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। রিডিং ক্লাবের একটি নীতি হলো তরুণ ইন্টেলেকচুয়ালদের পাবলিক স্পিকিংয়ে পারদর্শী করে গড়ে তোলা। 
cross-circle