বাংলাদেশ অধ্যয়ন: সীমাবদ্ধতা ও পক্ষপাতসমূহ - ভ্যান শেন্ডেলের চিন্তার আলোকে
মে ২৪, ২০২৩

৪৯৫ তম সাপ্তাহিক পাবলিক লেকচার

বিষয়: বাংলাদেশ অধ্যয়ন: সীমাবদ্ধতা ও পক্ষপাতসমূহ—ভ্যান শেন্ডেলের চিন্তার আলোকে

বক্তা: মো. আশরাফুল আলম

তারিখ: ২৫ মার্চ, ২০২৩ 

বৈশ্বিক জ্ঞানকাণ্ডে বাংলাদেশের একধরনের বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। বাংলাদেশ অধ্যয়ন এমন কোনো বিতর্ক তৈরি করতে পারেনি যা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পাবে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ অধ্যয়নের গতিপথ এখনো সচল।

বাংলাদেশ অধ্যয়নের ক্ষেত্রে কতিপয় দুর্বলতা লক্ষণীয়। যারা জ্ঞানচর্চা করছেন, তাদের মধ্যে একধরনের রক্ষণশীলতা আছে। স্রোতের বিপরীতে যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার প্রবণতা স্পষ্ট। সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগত বৈচিত্রতা সত্ত্বেও বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ অধ্যয়নের প্রচারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। জ্ঞান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এদেশের স্কলাররা বাধার সম্মুখীন হন। এছাড়া একাডেমিক লেখনীতে পেশাদারিত্বের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

বাংলাদেশের অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নানারূপ পক্ষপাত দেখা যায়। প্রথমত, বাংলাদেশ শুধু বাঙালি জাতিসত্তা নিয়ে গঠিত না। এখানে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রভাবে তাদের সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অধ্যয়ন করা হয়নি। জ্ঞানকাণ্ডে সংখ্যালঘিষ্ঠের উপস্থিতি নগন্য। দ্বিতীয়ত, জাতীয়তাবাদের চাপ বাংলাদেশের জ্ঞানকাণ্ডকে সীমাবদ্ধ করেছে। তৃতীয়ত, মূলত উন্নয়নমুখী প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অধ্যয়ন হয়। চতুর্থত, বৈচিত্র্য হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অধ্যয়ন ঢাকা কেন্দ্রিক। জ্ঞানকাণ্ডে যে সমস্ত নীতি সরকারের সাথে প্রাসঙ্গিক, শুধু তাতেই অর্থায়ন করা হয়। যেটি বাংলাদেশ অধ্যয়নের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হিসেবে বিবেচিত।

Recorded Lecture: https://www.youtube.com/watch?v=RKc1onqlWko

cross-circle