বাৎসরিক কার্যক্রম

বার্ষিক প্রোগ্রাম: নিইক - ন্যাশনাল ইয়ং ইন্টেলেকচুয়্যাল্স কনফারেন্স

yearly-1

ন্যাশনাল ইয়ং ইন্টেলেকচুয়্যাল্স কনফারেন্স হলো রিডিং ক্লাবের সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রোগাম। রিডিং ক্লাব প্রতিবছর জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের স্মরণে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে। ইতোমধ্যে ২০১১, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ইয়ং ইন্টেলেকচুয়্যাল্স কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছে।

নলেজ ওয়াক

বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের শিক্ষার যে দর্শন তার সঙ্গে ক্লাসরুমভিত্তিক পড়াশুনার বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। এখানে জ্ঞানচর্চার স্টাইল হওয়া উচিত হলিস্টিক বা সার্বিক। শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিমুহূর্তে আনকোরা ও অদ্ভূত চিন্তাচর্চায় আগ্রহী ও কৌশলী করে তুলতে হবে। পরিতাপের বিষয় হলো এখনকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ‘পিকনিক’ ও ‘বনভোজনের’ আয়োজন করে। যদিও অনেকেই তাদের বার্ষিক ট্যুরের নাম দেয় ‘স্টাডি ট্যুর’। কিন্তু প্রকৃত অর্থে তারা গিয়ে বনভোজন ও পিকনিকের মতো হালকা কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকেন। এই সংস্কৃতির পরিবর্তন প্রয়োজন। রিডিং ক্লাব প্রতিবছর একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শির্ক্ষার্থীদের নিয়ে নলেজওয়াকে যায়। নলেজওয়াকের উদ্দেশ্য হলো প্রতিবছর একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন। সঙ্গে থাকবে সংশ্লিষ্ট স্থানটির ওপর সবচেয়ে অভিজ্ঞ একাধিক লেখক বা গবেষক। তারা শিক্ষার্থীদেরকে এই স্থান সম্পর্কে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক ইত্যকার নানা তাৎপর্য বিষয়ে বর্ণনা প্রদান করবেন। এভাবে মজার মজার তথ্যে নিজেদের ডিসিপ্লিনের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে ঐতিহাসিক কোনো স্থাপনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে নিজেদের নতুনভাবে আবিষ্কারের এক দারুণ তৃপ্তি ও নতুন দৃষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হবেন শিক্ষার্থীরা। পিকনিক বা বনভোজনে যায় আটপৌরে জীবনের একঘেয়েমিতে কাহিল সাংসারিক লোকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ইন্টেলেকচুয়ালদের জন্য প্রয়োজন আত্ম আবিষ্কারধর্মী বিনোদন। সেজন্যই নলেজওয়াক। রিডিং ক্লাবের ২০১৩ সালের নলেজওয়াক অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহাসিক পানাম নগর ও সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরে। ২০১৪ সালের নলেজওয়াক অনুষ্ঠিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

রিডিং ক্য়াম্প

ক্লাব প্রতিবছর একটি রিডিং ক্যাম্পের আয়োজন করে। এই অভিনব উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা। এই ক্যাম্পে রিডিং অ্যাসোসিয়েটরা ৮-২০ দিনব্যাপী সারাদিন গবেষণা করে। ২০১৩ সালের রিডিং ক্যাম্পে রিডিং অ্যাসোসিয়েটরা ১১ দিনে ২২ হাজার পৃষ্ঠা পড়েছে। এছাড়াও তারা বাংলাদেশে যা যা প্রথম তার উপর গবেষণা চালিয়েছে। এই গবেষণাটি উইকলি সাপ্তাহিক-এ নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে এবং গন্থাকারে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। ২০১৪ সালের রিডিং ক্যাম্পে রিডিং অ্যাসোসিয়েটরা বাংলাদেশের সামগ্রিক জ্ঞানকান্ডের একটি নলেজম্যাপ অর্থ্যাৎ প্রতিটি নলেজ ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্র বইয়ের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। এর উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের জ্ঞানচর্চার গতিপথ সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল থাকা এবং বিভিন্ন বিষয়ের গবেষকদের গবেষণা-সহায়তা দেত্তয়া। বর্তমানে রিডিং ক্লাব বাংলাদেশের বিভিন্ন নলেজ ডিসিপ্লিন (ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, আইন ইত্যাদি) চর্চার ইতিহাস রচনার জন্য একটি গবেষণা-প্রকল্প পরিচালনা করছে।

MAC রিডিং অ্যাওয়ার্ড

MAC- রিডিং অ্যাওয়ার্ড হলো মুজাফফর আহমদ চৌধুরী (১৯২৩-১৯৭৮) রিডিং অ্যাওয়ার্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান। অসাধারণ রিডিং-হ্যাবিট ছিল তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়ার পরও দৈনিক ১৬/১৭ ঘণ্টা লাইব্রেরিতে পড়াশুনা করতেন। রিডিং ক্লাব এই মহান রিডারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ MAC- রিডিং অ্যাওয়ার্ড চালু করেছে ২০১৩ সালে। প্রতিবছর একজন তরুণ গবেষক বা জ্ঞানোদ্যক্তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

MAC-Renew

cross-circle